21 October 2014

আদার ১২টি উপকারিতার কথা।


১)    পরিমিত আদা খাওয়ার অভ্যাসে রক্ত-সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। আদায় রয়েছে ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক। এ উপাদানসমূহ রক্ত প্রবাহের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে।
২)    যানবাহনে চড়ার সময় কেউ কেউ অস্বস্তিতে ভোগেন বা কিছুক্ষণ গাড়িতে থাকার পর বমির প্রবণতা চলে আসে। আদা এক্ষেত্রে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
৩)    খাবার খাওয়ার পর পুষ্টি-উপাদানসমূহ যদি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও কোষগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে না পৌঁছায়, সেক্ষেত্রে নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পুষ্টি উপাদানগুলো শোষণ করার ক্ষেত্রে আদা কোষসমূহকে সহায়তা করে।
৪)    ঠাণ্ডা লাগা ও ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধে আদা বিশেষ ভূমিকা রাখে। এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার বছর ধরে প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধ বা নিরাময়ের ক্ষেত্রে আদার ব্যবহার চলে আসছে।

৫)    পেটের অস্বস্তি বা পীড়ায় আদা একটি আদর্শ পথ্য। হজমে সহায়তার পাশাপাশি খাবারের গুণাগুণ শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে আদা। কিছু খাওয়ার পর পেটব্যথায় ভোগার সমস্যা থাকলে, সেটা দূর হয়ে যাবে। পেটে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও প্রতিরোধ করে এটি।
৬)    আদা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৭)    ব্যথা ও শরীরে যে কোন ধরনের প্রদাহ কমাতে কাজ করে আদা। প্রাকৃতিকভাবেই এতে রয়েছে ব্যথানাশক উপাদান।
৮)    ফুসফুসের সাধারণ যে কোন সংক্রমণ বা রোগের ক্ষেত্রে আদা বেশ কার্যকরী। সর্দি-কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসের সাধারণ সমস্যা দূর করে আদা। গলা ও স্বরতন্ত্রী পরিস্কার রাখে।
৯)    ওভারিয়ান ক্যান্সারের চিকিৎসায় আদা অন্যতম ভূমিকা রাখে।
১০)    প্রতিদিন নিয়মিত সামান্য আদা খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিভিন্ন রোগে অক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুলাংশে কমে আসে।
১১)    স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায় আদা।
১২)    সকালে কেউ কেউ অসুস্থ বোধ করেন। নিয়মিত আদা খান। এ সমস্যা থেকে অচিরেই নিষ্কৃতি