মানুষ
এবং
অন্যান্য স্তন্যপায়ীদের মতো
বহিঃকর্ণ না
থাকলেও
ঠিকই
শুনতে
পায়
পাখিরা। কিন্তু
কিভাবে?
মানুষ
এবং
অন্যান্য প্রাণীর মতোই
বেশ
ভালো
শ্রবণশক্তি রয়েছে
পাখিদেরও। এমনকি
শব্দ
কোন
দিক
থেকে
আসছে,
ওপর,
নিচ,
নাকি
তাদের
একই
উচ্চতায়। কিন্তু
এই
কাজটি
তাদের
পক্ষে
কি
করে
সম্ভব?
ব্যাপারটা জাদুর
ভেলকি
নয়
বরং
বিজ্ঞান। জার্মানির TUM ইউনিভার্সিটির এক
গবেষণায় দেখা
যায়,
তারা
নিজেদের পুরো
মাথাটাকে একটি
বহিঃকর্ণের মতো
ব্যবহার করে
থাকে।
সম্প্রতি Plos One জার্নালে প্রকাশিত হয়
এই
তথ্য।
এই
গবেষণার জন্য
কাক,
হাঁস
এবং
মুরগির
কান
পরীক্ষা করা
হয়।
বিভিন্ন কোণে
শব্দ
কীভাবে
কানের
পর্দায়
আঘাত
করে
তা
দেখা
হয়।
দেখা
যায়
ডান
এবং
বাম
কানের
পর্দায়
ভিন্ন
ভিন্ন
কম্পাংকের শব্দ
পৌঁছায়। আর
কোন
দিক
থেকে
সেই
শব্দ
আসছে
তার
ওপর
নির্ভর
করে
পাল্টায় এই
কম্পাঙ্ক।
কম্পাংকের এই
ভিন্নতা পাখিটির মস্তিষ্কে চলে
যায়
এবং
মস্তিষ্ক এই
ভিন্নতাকে ব্যবহার করে
এই
শব্দের
দিক
নির্ণয়
করতে
পারে।
স্তন্যপায়ী প্রাণীরা নিজেদের বহিঃকর্ণ ব্যবহার করেই
এই
কাজটি
করে
থাকে।
যেসব
পাখির
চোখ
মাথার
পাশে,
তারা
পাশ
থেকে
আসা
শব্দের
দিক
নিপুণভাবে নির্ণয়
করতে
পারে।
আবার
যেসব
পাখির
চোখ
মাথার
সামনের
দিকে
যেমন
পেঁচা,
তারা
সামনে
থেকে
আসা
শব্দের
দিক
ভালোভাবে নির্ণয়
করতে
পারে।