এখন থেকে ১৫ বছর বয়স হলেই পাওয়া যাবে জাতীয় পরিচয়পত্র। তবে ভোট দিতে হলে
তাদের অপেক্ষা করতে হবে ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত। মঙ্গলবার জাতীয়
পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয় ইলেকশন কমিশন
(ইসি)।
এদিকে জন্মগ্রহণ করলেই জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
বৈঠকে। তবে তিনটি ধাপে এ কাজ সম্পন্ন হবে। এত দিন পর্যন্ত ১৮ বছর বয়স হলেই
কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র পেতেন বাংলাদেশের নাগরিকরা।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে
জন্মগ্রহণকারী নাগরিকদের নিবন্ধনের লক্ষ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ
কার্যক্রম গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ ক্ষেত্রে যাদের বয়স ১৫ থেকে ১৭
বছর তারাও পরিচয়পত্র পাবে। তবে বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তারপর তারা ভোটাধিকার
প্রয়োগ করতে পারবে।
বৈঠক সুত্র জানা যায়, নিবন্ধন কার্যক্রমে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী সব
নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। বয়স প্রমাণের জন্য শিক্ষার্থীদের উচ্চ
মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড আমলে নেয়া হবে, আর তা না থাকলে জন্ম
সনদও বিবেচ্য হবে।
এছাড়া পরবর্তীতে শুন্য থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী নাগরিকদেরও জাতীয়
পরিচয়পত্র দেবে ইসি। এরপর প্রথম ভাগে শুন্য থেকে ৬ মাস, দ্বিতীয় ভাগে ৬ মাস
থেকে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত, এরপর ৬ বছর থেকে ১২ বছর বয়সীদের আওতায় আনা হবে।
প্রথম পর্যায়ে ১ জুলাই থেকে ১৫ অক্টোবর, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ আগস্ট থেকে
১৪ আগস্ট এবং শেষে পর্যায়ে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে
তথ্য সংগ্রহ করবে ইলেকশন কমিশন (ইসি)।এভাবে ৭২ লাখ ১৫ হাজার নাগরিকের তথ্য
সংগ্রহ করার কথা ভাবছে ইলেকশন কমিশন।