সাম্প্রতিক সময়ে
দেশের
উত্তরাঞ্চলের কোন
কোন
স্থানে
আমন
ধান
ক্ষেতে
পাতা
পোড়া
রোগের
আক্রমণ
দেখা
দিয়েছে। বাংলাদেশ ধান
গবেষণা
ইন্সটিটউট (ব্রি)
এর
মতে
রোগটি
মূলত
স্বর্ণা (বিভিন্ন জাতের
স্বর্ণা) ও
সোনার
বাংলা
জাতে
আক্রমণ
করেছে। পাশাপাশি ব্রি
ধান৪৯
ও
ব্রি
ধান৫১
জাতে
এ
রোগের
আক্রমণ
নেই
বললেই
চলে।
পাতাপোড়া রোগে ধান গবেষণার পরামর্শ হলো:
১) ৬০ গ্রাম থিয়োভিট + ৬০ পটাশ সার ২০ গ্রাম দস্তা সার একত্রে ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫/৬ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। তাহলে এ রোগ পুনরায় বৃদ্ধি পাবে না এবং নিয়ন্ত্রণে আসবে;
১) ৬০ গ্রাম থিয়োভিট + ৬০ পটাশ সার ২০ গ্রাম দস্তা সার একত্রে ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫/৬ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। তাহলে এ রোগ পুনরায় বৃদ্ধি পাবে না এবং নিয়ন্ত্রণে আসবে;
২) জমিতে পানি দাঁড়ানো থাকলে নামিয়ে দিয়ে ৫/৬ দিন শুকিয়ে বিঘাপ্রতি ৫/৬ কেজি পটাশ সার প্রয়োগ করে পুনরায় পানি প্রয়োগ করতে হবে;
৩) ঝড়ো হাওয়া ও ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত, অতিমাত্রায় ইউরিয়া সারের প্রয়োগ রোগ বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ অবস্থায় ইউরিয়া সার দেয়া যাবে না। দেয়ার সময় হলেও ২/৪ দিন রোদ উঠার পরে সার দিতে হবে;
৪) সুষম মাত্রায় বিশেষ করে পটাশ সার (এমওপি সার) প্রয়োগ করলে এ রোগের প্রকোপ কিছুটা কম হয়;
৫) পরবর্তী বছরে এ ধরণের আক্রমণ কাতর জাত যে সুমন স্বর্ণা, গুটি স্বর্ণা, লাল স্বর্ণা, সম্বা মাসুরি, ইত্যাদি অননুমোদিত জাতগুলো চাষ না করা।