"পেটপুরে ভাত
খেলাম"
বা
"ভাত
না
খেলে
মনে
হয়
পেটই
ভরেনি"
ইত্যাদি কথাগুলোর সাথে
আমরা
কমবেশি
সকলেই
পরিচিত। পেটপুরে ভাত
খাওয়াটা আমাদের
বাঙালি
সংস্কৃতির সাথে
ওতপ্রোত ভাবে
জড়িয়ে
আছে। কিন্তু
আসলেই
কি
পেটপুরে ভাত
খাওয়াটা ভালো?
হ্যাঁ,
ভাতে
তেল
নেই
বিধায়
এটা
অনেক
স্বাস্থ্যকর খাবার
সন্দেহ
নেই। কিন্তু
পেটপুরে ভাত
খাওয়াটা আসলে
এমন
মারাত্মক একটি
অভ্যাস,
যা
আপনাকে
টেনে
নিয়ে
যাবে
মৃত্যুর দিকে!
কীভাবে?
চলুন
জেনে
নেই!
১)
সারাদিনে অনেক
ভাজাভুজি খান
না
আপনি,
কোন
কোমল
পানীয়
বা
মিষ্টি
খাবারও
খান
না,
গুণে
গুণে
মাত্র
৩
বেলা
খান।
কিন্তু
তবুও
কমে
না
ওজন?
এর
কারণ
হচ্ছে
আপনি
প্রয়োজনের চাইতে
অতিরিক্ত ভাত
খেয়ে
ফেলছেন। ভাতে
অন্যান্য খাবারের তুলনায়
অনেক
উচ্চ
মাত্রার কার্বোহাইড্রেট থাকে,
যা
আপনার
শরীরে
অযথাই
অনেকগুলো ক্যালোরি যোগ
করে
ফেলে।
এই
বাড়তি
ক্যালোরি বাড়তি
ওজন
হয়ে
জমে
যায়
শরীরে।
চায়ের
কাঁপে
এক
কাপ
ভাত,
যারা
খুব
পরিশ্রম করেন
তাঁদের
জন্য
দুই
কাপ
ভাতই
যথেষ্ট। সাথে
খেতে
হবে
প্রচুর
সবজি
ও
প্রোটিন। কিন্তু
আমরা
কেউ
কি
এত
কম
ভাত
খাই?
খাই
না।
সুতরাং
বলাই
বাহুল্য যে
হু
হু
করে
ওজন
বাড়ে
ও
ওজন
কমে
না
কিছুতেই।
২)
হ্যাঁ,
ভাত
উপকারী। কিন্তু
সাদা
চালের
ভাতে
আসলে
কোন
পুষ্টিগুণই থাকে
না।
লাল
চাল
খাওয়ার
অভ্যাস
বলতে
গেলে
আজকাল
কারোই
নেই,
সকলেই
ধবধবে
সাদা
ভাতের
ভক্ত।
কোন
পুষ্টিগুণ তো
নেই-ই, উল্টো ভাতের
হাই
কার্বোহাইড্রেট আপনার
মেটাবোলিজম হার
কমিয়ে
দেয়।
অর্থাৎ
খাবার
হজম
হবার
হার
কমে
যায়।
আর
দুপুরে
বা
রাতে
পেটপুরে ভাত
খাবার
পর
ঘুমিয়ে
গেলে
তো
কথাই
নেই!
শরীরের
সর্বনাশ হয়ে
যায়।
৩)
অতিরিক্ত ভাত
খাওয়া
আপনার
রক্তনালীকে সংকুচিত করে
ফেলে।
ভাতের
হাই
কার্বোহাইড্রেট প্রচুর
পরিমাণে ফ্যাট
তৈরি
করে
দেহে,
যা
আপনার
রক্তনালীগুলোকে ক্রমশ
সংকুচিত করে
ফেলে
এবং
এক
পর্যায়ে ধমনীতে
দেখা
যায়
ব্লক
ও
বন্ধ
হয়ে
যায়
রক্ত
সরবরাহ।
৪)
ভাত
হচ্ছে
chewier substance, অর্থাৎ
এমন
খাদ্য
যেটা
হজমে
সময়
লাগে।
হজমে
সময়
লাগে
এমন
হাই
কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ
খাবার
মেটাবোলিজম রেট
কমিয়ে
দেয়,
যা
নানান
রকম
হার্টের অসুখের
অন্যতম
কারণ।
(এই কথাগুলো কেবল
সাদা
ভাত
নয়,
চাল
থেকে
তৈরি
ভাত
জাতীয়
যে
কোন
খাবারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।)
তাহলে কী করবেন?
পেটপুরে ভাত
খেতে
পারবেন
না
মানে
এই
নয়
যে
ভাত
একেবারেই খারাপ
কিছু।
ভাত
তখনই
ভালো,
যখন
তা
খাওয়া
হয়
পরিমিত
পরিমাণে এবং
স্বাস্থ্যকরভাবে। যেমন,
লাল
চালের
ভাত
খাওয়া
অভ্যাস
করুন,
পরিমাণে অল্প
ভাত
খান,
ভাতের
মাড়
ফেলে
রান্না
করুন
এবং
ভাত
খাওয়ার
পরই
ঘুমিয়ে
যাবেন
না,
বরং
হাঁটাহাঁটি করুন।
এভাবে
ভাত
খেয়েও
আপনি
থাকতে
পারবে
সুস্থ,
সুন্দর
ও
নীরোগ।